প্রভাতী ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানাবিধ অনিয়ম পর্যবেক্ষণে এবার দায়িত্ব পালন করছেন ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৮ জন সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা চসিক নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। ইতিমধ্যে সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে কোন কোন এলাকায় কাজ করবেন, তা দায়িত্ব দেয়া হলেও ম্যাজিস্ট্রেটগণ কে কোন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচন অফিসের দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করবেন। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। তাছাড়া ১৪ জন সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করবেন। ইতিমধ্যে কোন কর্মকর্তা কোন এলাকায় কাজ করবেন, সেটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (আজ) সবেমাত্র প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এখনো কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেননি। অভিযোগ এলে দায়িত্বশীলরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চসিকের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীসহ ২’শ ৩৭ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে (পুরুষ) ১৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ইভিএমের মাধ্যমেই এই নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
আরো জানা যায়, চসিক নির্বাচনের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও দুটি অস্থায়ী। বুথ সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষ।
২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোট দেন ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের ভোটাররা। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী- বাকলিয়া) আসনের চসিক ১৫ থেকে ২৩ এবং ৩১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত মোট ১৪ ওয়ার্ডের ভোটার ইভিএম-এ ভোট দেন। চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারিতে হতে যাওয়া এই নির্বাচন গত ২০২০ সালের ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ আবারও গত ১৪ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিত হওয়া নির্বাচনে ভোট নেওয়ার নতুন তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।