এম.জিয়াউল হক: আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এই সিটির সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।
সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার। মাঠে নেমেছেন পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও। এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী ছাড়া আরো ৪টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চসিক নির্বাচনের ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ। এসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার। এবার নির্বাচনে ভোটার ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৭জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪টি আসনের বিপরীতে ৫৭ জন এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারবেন। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারে সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে পুলিশের ৭ হাজার ৭৭২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ২৫ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাবের ৪১টি দল আছে। এছাড়া মোবাইল টিম থাকবে ৪১০টি। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ১৪০টি দল। ভোটে দায়িত্ব পালন করবে প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাব ও পুলিশের একটি করে টিম। আনসারের প্রায় তিন হাজার ৮০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ৪১ ওয়ার্ডে ৪১ জন ভোটের দিন দায়িত্বে থাকবেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, মোট কেন্দ্র ৭৩৫টি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ৪১৭টি। সেগুলোতে ৮ জন পুলিশ ও ১০ জন আনসার সদস্য মিলিয়ে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ থাকবে ৬জন এবং আনসার ১০ জন। আগের চেয়ে বেশি পুলিশ-আনসার আমরা এবার ভোটকেন্দ্রে দিচ্ছি, যাতে ভোটগ্রহণে কোন বাধা সৃষ্টি না হয়।
গত বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একই বছরের ২৯শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারির কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে গত ২১শে মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়।